বাংলা ব্লকেডের চেয়েও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি কোটা আন্দোলনকারীদের

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইসুতে রিতিমত বিপাকে সরকার। কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রন হলেও আন্দোলনকারিদের একের পর এক দাবিতে চিন্তিত প্রশাসন। এরি মধ্যে বাংলা ব্লকেডের চেয়েও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারিরা। প্রশ্ন উঠেছে আবারো কি দেশের পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে যাচ্ছে? 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশ ব্যপি যে ধ্বংশাত্বক পরিস্থিতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তার পিছনে কারা ইন্ধন দিয়েছে তা বের করতে কাজ করছে আইন শৃংখলা রক্ষা কারি বাহিনী। তার ই ধারাবাহিকতায় আটক করা হয়েছে অনেক সন্দেহভাজন ও মাস্টারমাইন্ডকে। এমন পরিস্থিতিতে এবার বাংলা ব্লকেডের চেয়েও কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দিলো আন্দোলনকারিরা। শনিবার রাতে জুম মিটিং এ বৈষম্য বিরধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সম্বন্বয়ক রিফাত রশিদ, আবদুল হান্নান মাসুদ ও মাহিন সরকার এই ঘোষনা দেন। 

মুলত অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের স্বমন্বয়ে স্বাধীন কমিশন করে কোটা সংস্কার বিষয়ে এর সুপারিশ অনুযায়ী সংসদে আইন প্রনয়ন করা, গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের মুক্তি দেয়া সহ সকল মামলা তুলে নেয়া, হত্যাকান্ডে জরিত পুলিশ ও মন্ত্রীদের বরখাস্ত করা এই তিন দাবী সামনে রেখে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে তারা। 

এছাড়া কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে নতুন করে ঘোষিত কর্মসুচিতে বলা হয় আন্দোলনের অংশ হসেবে রোববার সারা দেশে দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন কর্মসুচি পালন করবে তারা। 

তারা আরো বলে আগামিকাল এর মধ্যে আটক্কৃত সকল সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থিদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষার্থিদের হত্যার সাথে জরিতদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। তা নাহলে পরশুদিন থেকে কঠিন কর্মসুচি দিতে বাধ্য হবেন তারা। 

তারা আরো বলে জেলা উপজেলা ও প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আহত ও নিহতদের লিস্ট করে মানসিক ও আর্থিক সাহায্যের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

এবং লিগ্যাল ফোর্স গঠন করে সারা দেশে অসংখ্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রনদিত মামলার ডকুমেন্টেশন এবং যাদের আইনি সাহায্যের প্রয়োজন তাদেরকে সাহায্যের ব্যবস্থা করতে হবে এক্ষেত্রে স্থানিয় ইউনিট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রিয় কমিটির সাথে সমন্বয় করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *