কোটা আন্দোলনে বহুল আলোচিত আবু সাঈদ এর মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেস্টা

কোটা আন্দোলনে বহুল আলোচিত রংপুরের আবু সাঈদ এর মৃত্যু কিভাবে হইয়েছে তা দেখছে পুরো দেশবাসী। কিন্তু পুলিশের এফ আই আর এ উল্লেখ করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইট পাটকেলের আঘাতে পরে যান আবু সাঈদ। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে এলকায়, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকেরাও। তবে মহানগর পুলিশ কমিশনার বলছেন এই এফ আই আর চুড়ান্ত কিছু নয়, পেশাদার তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে সঠিক তথ্য। 

গত ষোল জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর পোনে ২ টায় গুলি বিদ্ধ হন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। পরে সাহযোগিরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের এস আই বিবুধি ভুষন রায় বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। কয়েকদিন চাপা থাকলেও প্রকাশ্যে এসেছে মামলার কপি। সেখানে উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইট পাটকেলের আঘাতে একজন শিক্ষার্থীকে পরে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠিরা তাকা ধরাধরি করে জড়ুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল তিনটা পাঁচ মিনিটের সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই বিবরণে ক্ষুদ্ধ রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সেখানকার বাংলা বভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন গুলি করে হত্যা করা আবু সাঈদের এই ঘটনাটাকে যদি অস্বিকার করা হয় কিংবা ধামা চাপা দেয়ার চেস্টা করা হয় তাহলে হিতে বিপরীত হবে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন এটাকে হত্যাকান্ড বলি বা অস্বাভাবিক মৃত্যু বলি এটার বিষয়ে আইনি যেই পদক্ষেপ নেয়ার বিষয় ছিল সেটা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সঠিকভাবে পালন করছে না। 

আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছিলেন খোদ প্রধান মন্ত্রীও তিনি বলেন পুলিশের গুলিতে রংপুরে একজন মারা গেছে। যেই মারা যাক সেতো কোনো বাবা মার ই সন্তান। তিনি এর জন্য দূঃখ প্রকাশ করেন। 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন এফ আই আর এ ভুল থাকতে পারে তবে তদন্ত পক্রিয়াটি প্রফেশনালি করার চেস্টা করব। 

অন্যদিকে সাঈদ হত্যার সঠিক বিচার দাবী করেন সাঈদের বাবা-মা ও এলাকাবাসী। রংপুরে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিহিত হন ৭ জন আহত পাচশতাধিক এবং ১৪ টি মামালা ও গ্রেফতার দুইশতাধিক। 

সুত্রঃ https://www.youtube.com/watch?v=UsUAaBptc_w

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *