ফেনিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রের মহড়া দেখা যায় আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিদের। এমনকি ভারি অস্ত্র দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়। নির্বিচারে হামলার ঘটনায় হতাহত হয়েছেন অনেকেই। অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন সবাই।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবী ঘীরে গেল ৪ আগস্ট ফেনিতে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। শহরের অলি গলিতে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায় আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিদের। ভারি অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয় ছাত্র জনতার উপর। গুলিতে নিহত হয় ১০ জন, আহত শতাধিক। যদিও শিক্ষার্থীদের দাবী নিহতের সংখ্যা আরো বেশি।
আস্ত্রধারী কয়েকজনের নাম এখন সবার মুখে মুখে যার মধ্যে রয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি জিয়াউদ্দিন বাবলু, কাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুতফুর রহমান খোকন হাজারি।
এর আগেও বিভিন্ন কর্মসুচি ঘিরে আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিদের অস্ত্রের মহড়া দেয়ার অভিযোগ আছে। অথচ অস্ত্রধারীরা রয়েগেছে ধরা ছোয়ার বাইরে, এমনকি উদ্ধার হয়নি কোন অস্ত্রও।
জেলাপ্রশাসক জানিয়েছেন অস্ত্র উদ্ধারের উদ্যোগ নেয়া হবে, আইনের আওতায় আনা হবে অস্ত্রধারীদের। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী বিগত সময়ে ফেনিতে আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠনের নেতাকর্মিদের দুই শতাধিক অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে অবৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি বৈধ অস্ত্র দিয়েও গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
স্থানীয়রা জানান তারা নানা ধরনের আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখেছেন। তারা এসবে আতংকিত এবং যাদের এসব অবৈধ অস্ত্র রয়েছে এবং অস্ত্র ব্যবহার করে ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে তাদের আটক করে দৃস্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।