গতকাল দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য তার বক্তব্যে সবার উদ্দেশ্যে বলেন – আপনারা জানেন প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক কে ছেরে দেয়ার জন্য। তাদের কোন কারণ ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছিলো কোন আইনআনুগ ব্যবস্থা ছাড়াই। এবং বলা হচ্ছিলো আদালত থেকে বললে ছাড়া হবে, এর ফলে একটি অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিলো। আমরা শুনেছি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে মুক্তি দেয়া হয়েছে, আশা করি তারা নিরাপদ আছে।
তাদের মুক্তিতে আমরা খুশি কিন্তু এখনো অনেক নিরঅপরাধ ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ বিনা বিচারে এখনো আটকে আছে, সেজন্য আমরা সন্তুস্ট নই। আমরা আজকে এখানে দাবী করছি আগামী ২৪ ঘন্টার ভিতরে যে যেখানে আটক আছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন অঞ্চলে বিনা বিচারে কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা ছাড়া তাদের সকলকে অনতি বিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এটা প্রধান দাবী। ২য় দাবী হল এ পর্যন্ত যত নিরঅপরাধ মানুষ মারা গেছে সবগুলোর বিচার করতে হবে। এবং সেই বিচারের জন্য জাতিসংঘের মত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করতে হবে। স্কুল-কলেজ খুলে দিতে হবে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সেখান থেকে সরাতে হবে। ইন্টার্নেট ব্যবস্থা স্বাভাবিক করে দিতে হবে। আইন এর এই অবস্থা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন – আপনারা বলেছেন এই ঘটনার ফলে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি নস্ট হচ্ছে আমি এটা স্বিকার করি না। ভাবমুর্তি নস্ট হলে সেটা সরকারের হচ্ছে দেশের না। বাংলাদেশের যেই শক্তি, বাংলাদেশের যেই সাহস, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের যেই ঐতিহ্য তার প্রতি আমাদের অনুরক্ততাই প্রকাশ পাচ্ছে। ভাবমুর্তি সংকট থাকলে সেটা সরকারের সংকট বাংলাদেশের না।
শেষ করার আগে তিনি বলেন বাংলাদেশের মানুষ টেক্স দেয়, আমার টেক্স এর টাকায় কেনা বন্দুক ও গুলি দিয়ে কেন নিরঅপরাধ সাধারণ মানুষ মারা হবে। আমার টেক্স এর টাকায় কেনা বন্দুক ও গুলি দিয়ে নিরঅপরাধ সাধারণ মানুষ মারা হবে এই জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয় নাই। এটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য না। বাংলাদেশের এই আন্দোলন, ছাত্রজনতার এই আন্দোলন চলমান থাকবে, যতক্ষন পর্যন্ত না সামগ্রিকভাবে এই অন্যায়, অত্যাচার বন্ধ না হয়। এই বলে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
সুত্রঃ https://www.youtube.com/watch?v=v_DvMf0NID0