থ্যালাসেমিয়া কি? কেন হয় | লক্ষন ও প্রতিকার

থ্যালাসেমিয়া রোগের নাম আমরা অনেকেই কম বেশি শুনেছি, কিন্তু খুব কম সংখ্যক লোকই এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানে। থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তজনিত রোগ, যা বংশগতভাবে শরীরে প্রবেশ করে থাকে। থ্যালাসেমিয়ার ফলে শরীরের রক্তে অক্সিজেন পরিবহণকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি দেখা দেয়। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেনস্বল্পতা বা “অ্যানিমিয়া”তে ভুগে থাকেন। এর ফলে দেখা দেয় অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানির মত ঘটনা। বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহন করে। থ্যালাসেমিয়া মেজর বা কুলি অ্যানিমিয়া (Cooley anemia)-তে আক্রান্ত সন্তান সাধারণত ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। যেকোন মানুষ হয় নরমাল না হয় থ্যালাসেমিয়া মাইনর অথবা থ্যালাসেমিয়া মেজর হয়ে থাকেন। আমরা একটু সচেতন হলেই থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।

থ্যালাসেমিয়া হলে কি হয়

মানবদেহে ১১তম এবং ১৬তম ক্রোমোজোমে এই জিনগুলো অবস্থান করে। এই দুটি জিনের একটা আসে বাবার কাছ থেকে, আরেকটা আসে মায়ের কাছ থেকে। কোনো কারণে যদি একটা জিনের মধ্যে ত্রুটি থাকে অর্থাৎ বাবা কিংবা মায়ের জিনের মধ্যে ত্রুটি থাকে, তাহলে হিমোগ্লোবিন তৈরির পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য একটু কম হয়। তখন তাদেরকে বলা হয় থ্যালাসেমিয়া মাইনোর বা থ্যালাসেমিয়া বাহক। কিন্তু যদি হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য যে দুটি জিন দরকার সেই দুটি জিনের মধ্যেই ত্রুটি থাকে, তবে হিমোগ্লোবিন তৈরির পরিমাণ অনেক কমে যায় এবং রক্তকণিকাগুলো সময়ের আগেই ভেঙে যায়। এতে করে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, হিমোগ্লোবিন অনেক কমে যায়, এক্ষেত্রে শিশুকাল থেকেই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাদেরকে থ্যালাসেমিয়া মেজর বা থ্যালাসেমিয়ার রোগী বলা হয়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এদের নিয়মিত রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। আবার কিছু থ্যালাসেমিয়া রোগীর উপসর্গ ও রক্তের প্রয়োজন মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে বিধায় তাদেরকে থ্যালাসেমিয়া ইন্টারমেডিয়া বলে।

থ্যালাসেমিয়া কত প্রকার

থ্যালাসেমিয়া প্রধানত ২ ধরনের আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বিটা থ্যালাসেমিয়া, ২ টির মধ্য রয়েছে ২ টি করে প্রকারভেদ নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

আলফা থ্যালাসেমিয়া

আলফা থ্যালাসেমিয়ার ২টি প্রকার হল আলফা থ্যালাসেমিয়া মাইনর ও আলফা থ্যালাসেমিয়া মেজর। আলফা থ্যালাসেমিয়া, বিটা থ্যালাসেমিয়া থেকে কম তীব্র। আলফা থ্যালাসেমিয়া বিশিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ মৃদু বা মাঝারি প্রকৃতির হয়ে থাকে।

বিটা থ্যালাসেমিয়া

বিটা থ্যালাসেমিয়ার ২টি প্রকার হল বিটা থ্যালাসেমিয়া মাইনর ও বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর। বিটা থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা বা প্রকোপ অনেক বেশি। এক-দুই বছরের শিশুর ক্ষেত্রে ঠিকমত চিকিৎসা না করলে শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।

থ্যালাসেমিয়া হওয়ার কারণ

আমরা আগেই জেনেছি থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রোগ, চলুন জানি কিভাবে। বাবা কিংবা মায়ের  থ্যালাসেমিয়া থাকলে ওথবা পিতা মাতা দুজনের ই থ্যালাসেমিয়া থাকলে সন্তানের মধ্যে ছড়ায়। গবেষনায় দেখা গেছে পিতা মাতা দুজনের ই থ্যালাসেমিয়া থাকলে ২৫ শতাংশ সন্তান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়।

আমরা আগেই জেনেছি থ্যালাসেমিয়া ২ প্রকার আলফা থ্যালাসেমিয়া এবং বিটা থ্যালাসেমিয়া।

আলফা থ্যালাসেমিয়া

এই রোগের জন্য ১৬নং ক্রোমোজোমে উপস্থিত আলফা-শৃঙ্খল উৎপাদনকারী জিনের মিউটেশন বা ডিলেশন দায়ী। চারটি জিন দিয়ে আলফা থ্যালাসেমিয়া শৃঙ্খল তৈরি হয়। বাবা-মা থেকে প্রাপ্ত চারটি জিনের মধ্যে এক বা তার অধিক ত্রুটিপূর্ণ জিন হলে আলফা থ্যালাসেমিয়া হয়। যত বেশি জিন ত্রুটিপূর্ণ হবে তত বেশি মারাত্মক সমস্যা দেখা দিবে। 

বিটা থ্যালাসেমিয়া

বিটা থ্যালাসেমিয়া: বিটা থ্যালাসেমিয়া শৃঙ্খল গঠিত হয় দুইটি জিন দিয়ে। বাবা-মা থেকে প্রাপ্ত চারটি জিনের মধ্যে এক বা তার অধিক ত্রুটিপূর্ণ হলে বিটা থ্যালাসেমিয়া হয়।

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষন

যারা থ্যালাসেমিয়া মাইনর বা বাহক তাদের মধ্যে তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। তবে থ্যালাসেমিয়া মেজর বা থ্যালাসেমিয়া রোগীদের শিশুকাল থেকেই এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। 

লক্ষনগুলো নিচে দেয়া হল – 

১। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে রক্তশুন্যতা দেখা দেয়া।

২। রক্তশুন্যতার জন্য ঘন ঘন রক্ত দেয়ার ফলে শরীরে আয়রন এর পরিমান বেড়ে যাওয়া।

৩। চোখ, ত্বক ও মুখমণ্ডল ফ্যাকাশে দেখাবে।

৪। জন্ডিসের কারণে মুখ হলদে দেখাবে

৫। সারাক্ষন অবসাদ, দুর্বলতা, অস্বস্তি লাগা।

৬। অস্বাভাবিক অস্থি বৃদ্ধি, প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া অর্থাৎ পেট বাইরের দিকে প্রসারিত হওয়া বা বৃদ্ধি পাওয়া।

৭। শারীরিক বৃদ্ধিতে ধীর গতি।

৮। হাড়ের বিকৃতির কারণে চেহারার মধ্যে একটা পরিবর্তন আসে, মুখ চ্যাপ্টা, কপাল, থুতনি, সামনের দাঁত একটু প্রমিনেন্ট হয়ে যায়।

৯। হৃদপিন্ডে সমস্যা (শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হওয়া)

১০। পশ্রাবের রং গাড় হওয়া

১১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে সহজেই ইনফেকশন বা সংক্রমিত হওয়া।

থ্যালাসেমিয়া নির্নয়

থ্যালাসেমিয়া নির্নয় এর জন্য চিকিৎসক বেশকিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যেমন ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে আপনি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত কিনা তা নির্ধারণ করা সম্ভব। কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট আর স্পেশাল হিমোগ্লোবিন টেস্টের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া নির্নয় করা সম্ভব।

যদি কেউ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে ব্লাডটেস্ট এ নিম্নলিখিত পরিবর্তনগুলো দেখা দিতে পারে।

  • লোহিত রক্তকনিকা কমে যাওয়া
  • ফ্যাকাসে লোহিত রক্তকনিকা
  • ছোট রক্ত কনিকা
  • লাল লোহিত কণিকাগুলোতে আনইভেন হিমোগ্লোবিন দেখা যাবে, যার ফলে কোষটি মাইক্রোস্কপের (Microscope) নিচে দেখতে বুলস আই (bull’s-eye) এর মত লাগবে।

শিশুর জন্মের আগেও কিছু টেস্ট এর মাধ্যমে শিশুর থ্যালাসেমিয়া আছে কিনা তা জানা যায়। টেস্টগুলো হল – 

কোরিওনিক ভিলাস নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নের জন্য প্লাসেন্টার অতি ক্ষুদ্র অংশের অপসারণ করা হয় এবং এই পদ্ধতিটি সাধারণত গর্ভাবস্থার ১১ তম সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হয়।

অ্যামনিওসিন্টেসিস, অ্যামনিওটিক তরলের নমুনা গ্রহণের সাথে সম্পর্কিত যা ভ্রূণকে ঘিরে থাকে এবং এই পদ্ধতিটি সাধারণত গর্ভাবস্থার ১৬ তম সপ্তাহে করা হয়।

থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা 

থ্যালাসেমিয়া মাইনর হলে সাধারণত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না। থ্যালাসেমিয়া মেজর হলে চিকিৎসা নিতে হয়। দুই ভাবে থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা করা যায় সাপোর্টিভ চিকিৎসা ও কিউরেটিভ চিকিৎসা। 

সাপোর্টিভ চিকিৎসা

সাপোর্টিভ চিকিৎসার চিকিৎসার প্রধান বিষয় হচ্ছে ব্লাড ট্রান্সফিউশন। থ্যালাসেমিয়া মেজর হলে শিশুর ৬ মাস বয়স থেকেই রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, তখন তাকে নিয়মিত রক্ত দিতে হয়। নিয়মিত এবং পরিমিত রক্ত পরিসঞ্চালন করলে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে, প্লিহা স্বভাবিক থাকে, হাড়ের বিকৃতি হয় না। পরিস্থিতি অনুযায়ী ১ মাস বা ২ মাস পরপর ব্লাড ট্রান্সফিউশন করতে হয়।

এক বছর রক্ত দেওয়ার পর রোগীর শরীরে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। তখন শরীর থেকে আয়রন বের করার জন্য আয়রন চিলেটিং ওষুধ দেওয়া হয়, নিয়মিত ব্যবহার করতে। শরীরের আয়রন এর পরিমান নির্নয় করে ঔষধ বা ইনজেকশনশ দেওয়া হয়। 

হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য Hydroxyurea এবং Thalidomide জাতীয় ওষুধ ব্যবহারে হিমোগ্লোবিন-এফ বাড়ার ফলে শরীরের হিমোগ্লোবিন ও অক্সিজেনের মাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। যার ফলে থ্যালাসেমিয়ার তীব্রতা হ্রাস পায় এবং অনেক ক্ষেত্রে ব্লাড ট্রান্সফিউশনের প্রয়োজনীয়তা কমে আসে।

কিউরেটিভ চিকিৎসা

শুধুমাত্র বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট ই হচ্ছে কিউরেটিভ চিকিৎসা। এই চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যায়বহুল, এটির মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়। আমাদের দেশে এখনও এই চিকিৎসা তেমন প্রচলিত নয়। 

থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রনে কিছু ঘরোয়া উপায়

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হলে এটি প্রতিরোধের ঘরোয়া কোন উপায় নেই। কিন্তু অবস্থার যেন অবনতি না ঘটে তার জন্য আমাদের লাইফ স্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনতে পারি।

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তদের অতিরিক্ত আয়রন গ্রহন করা যাবে না। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে আয়রনযুক্ত খাবার গ্রহনের তালিকা নেয়া 

এনার্জি লেভেল ঠিক রাখতে ব্যালেন্সেড ডায়েট যা পুষ্টিগুণে ভরপুর এমন খাবার গ্রহন করা উচিৎ। হাড়ের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া শরীরে রক্ত কনিকা তৈরি হওয়ার জন্য চিকিৎসকেরা ফলিক এসিড (Folic Acid) গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তরা সহজেই ইনফেকশন বা সংক্রমমিত হয়। তাই নিজেকে ইনফেকশন থেকে নিরাপদ রাখার জন্য সব সময় সাবান দ্বারা হাত পরিষ্কার করতে হবে, বিশেষ করে জ্বর সর্দি বা ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। ইনফেকশন থেকে বাঁচার জন্য মেনিন জাইটিস (Menin Zytis), হেপাটাইটিস বি এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে।

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে করণীয়

থ্যালাসেমিয়া বংশগত রোগ হলেও এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। পিতা-মাতা দুজন ই যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হন বা যেকোন একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক ও একজন হিমোগ্লোবিন ই এর বাহক হন তাহলে  প্রত্যেক শিশু জন্মের ক্ষেত্রে শতকরা ২৫ ভাগ সম্ভাবনা থাকে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু জন্ম নেয়ার। শতকরা ৫০ভাগ সম্ভাবনা থাকে থ্যালাসেমিয়ার বাহক শিশু জন্ম নেয়ার। শতকরা ২৫ ভাগ সম্ভাবনা থাকে সুস্থ শিশু জন্ম নেওয়ার।

যদি পিতা-মাতার যেকোনো একজন এর থ্যালাসেমিয়া থাকে এবং একজন সুস্থ থাকেন, তাহলে সন্তানের থ্যালাসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে থ্যালাসেমিয়ার বাহক হতে পারে যা কোন অসুখ না।

 তাই বিয়ের আগে পাত্র বা পাত্রী থ্যালাসেমিয়ার বাহক কিনা পরিক্ষা করে জেনে নেয়ে উচিৎ। যদি যেকোন একজন থ্যালাসেমিয়া মাইনর বা বাহক হন তাহলে বিয়েতে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু যদি দুজনের ই থেলেসেমিয়া থাকে তাহলে অনাগত সন্তানের সুস্থতার কথা ভেবে তাদের মধ্যে বিয়ে না হওয়াটাই উত্তম।  তাই বিয়ের আগে অবশ্যই থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় এর জন্য হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস পরীক্ষাটি করে দেখুন।

তাছাড়া যেসব পরিবারে বাবা-মা দুজন ই থ্যালাসেমিয়ার বাহক কিংবা যাদের সন্তানদের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত সন্তান আছে তাদের উচিৎ পরবর্তি গর্ভাবস্থার ১৬ থেকে ১৮ সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে গর্ভস্থ ভ্রুণ পরীক্ষার মাধ্যমে অনাগত শিশু থ্যালাসেমিক কিনা তা নির্নয় করে শিশু জন্ম দিবে কিনা তা ঠিক করা।

এছাড়া থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে জনসাধারণকে এ রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে পারাটাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ ভুমিকা রাখতে পারে দেশের সরকার, প্রশাসন, মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিস্তারিত
সকল হাসপাতাল এর ঠিকানা
প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি

তথ্য সংগ্রহঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Thalassemia
https://bangla.thedailystar.net/life-living/wellness/news-589231
https://www.shajgoj.com/reasons-of-thalassemia/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *