ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং স্মার্ট ক্যারিয়ার | আল্টিমেট গাইডলাইন পার্ট ১

আমাদের দেশের বেকারত্ব দুরিকরনের জন্য অপার সম্ভবনার ক্ষেত্র এই ফ্রিলেন্স-আউটসোর্সিং খাত। বর্তমানে আমাদের দেশে ফ্রিলেন্স-আউটসোর্সিং এর সাথে জরিত আছেন কয়েকলক্ষ লোক। তাদের মধ্যে অনেকের মাসিক আয় লাখ এর উপরে। মাসে দশলাখ এর বেশি আয়ের লোক ও কম নয়। প্রয়োজন শুধু ধর্য ধরে কাজ শিখে দক্ষতা অর্যন করা। তারপর টাকা আপনার পিছনে ছুটবে।

ফ্রিলেন্স-আউটসোর্সিং কি?

এককথায় ফ্রিলেন্সিং এর অর্থ হল মুক্তপেশা। মানে নির্দিস্ট কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীন ভাবে কাজ করা। যারা এধরনের কাজ করেন তাদের বলাহয় ফ্রিলেন্সার। এদের আয়ের কোন সীমাবদ্ধতা নেই, কাজ ও চুক্তির উপর নির্ভর করে টাকার পরিমাণ। অনলাইন এর সহজলভ্যতার ফলে এখন ফ্রিলেন্সিং ছরিয়েপরেছে বিশ্বময়। এমন অনেক কাজ আছে যা শুধু ইন্টারনেট সংযোগ আর কম্পিউটার থাকলেই করা যায়। বিশ্বের যেকোন প্রান্তে বশে আপনি অন্য যেকোন দেশের কাজ করতে পারছেন, দরকার শুধু ইন্টারনেট সংযোগ আর কম্পিউটার।

আউটসোর্সিং হচ্ছে নিজের কাজ টাকার বিনিময়ে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়া। যেমন আপনার একটি কোম্পানি আছে তার জন্য একটি অকর্শনিয় লোগো করতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনার কোম্পানিতে কোন ডিজাইনার নাই। এখন লোগো করতে হলে আপনাকে যেতে হবে ভাল কোন ডিজাইনার এর কাছে। এইযে আপনি লোগো করিয়ে নিলেন এটাই হচ্ছে আউটসোর্সিং। 

অনলাইন এ এমন কাজের অভাব নেই, দরকার শুধু দক্ষতা অর্যন করে কাজে নেমেপরা।

ফ্রিলেন্স-আউটসোর্সিং ছারাও ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয়ের আরো অনেক উপায় আছে। যেমন-

ব্লগিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ভিডিও তৈরি, ইবুক রাইটিং, অন্যের সাইট এর জন্য লেখালেখি, এপ তৈরি, ফটো বিক্রি, পেশাগত প্রশ্ন উত্তর দিয়ে, কোন বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে তার কোর্স বানিয়ে বিক্রি, ভার্চুয়াল শিক্ষকতা সহ আরো অনেক উপায় জানতে পারবেন অনলাইনে খুজাখুজি করলে। 

ফ্রিলেন্সিং কিভাবে শুরু করবেন?

অনলাইনে কাজ করার ইচ্ছা থাকলে তাদের মোটামুটি ইংরেজী জানা বাধ্যতামূলক, কেননা এই সেক্টরে ইংরেজির ব্যাবহারটাই বেশি। যে যত ভাল ইংরেজি জানবে কাজ শিখা ও করা তার জন্য ততোটাই সহজ। আর শিখার আগ্রহ থাকতে হবে প্রচুর। যা গুগল ব্যাবহার করে শিখতে পারবেন। যাই জানতে চান না কেন প্রথমেই সার্চ করবেন গুগল এ। তারপর না পেলে সে বিষয়ে ভাল জানে এমন কাউকে জিজ্ঞেস করেতে পারেন। এমন অনেক কাজ আছে যা বিভিন্ন সাইট/ব্লগ/ভিডিও থেকে শিখতে পারাযায়।

আগেই বলেরাখি অধর্যদের জন্য একাজ শিখা খুব কঠিন, কারন এখানে শিখার পিছনে প্রচুর সময় দিতে হবে। অধর্যরা এক্ষেত্রে সফলতা পায়না বললেই চলে।

মডিউল নাম্বার ১- প্রথমে আপনাকে মোটামুটি জানতে হবে কি কি কাজ করে অনলাইনে আয় করার সুযোগ আছে। যেমন- ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, এপস ডেভলপমেন্ট, ফোটো ইডিটং, এস ই ও, এস এম এম, রাইটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং সহ আরো অনেককিছু যা খুজলেই পাবেন। সেজন্য শুরু করেদিন গুগলে পরালেখা। মনেরাখবেন যত পরবেন তত আপনার জ্ঞানের পরিধি বারবে। 

মডিউল নাম্বার ২- এরপর যেসব কাজ করাযায় সেগুলো সম্পর্কে মোটামুটি জানার চেষ্টা করুন যেমন কাজটি কি, কেন করতে হয়, কিভাবে করতে হয়, কোথায় করতে হয় এবং শিখতে কেমন সময় লাগেতে পারে এগুলো সম্পর্কে বেসিক ধারণা নিন।

মডিউল নাম্বার ৩- এবার ভেবে দেখুন কোন কাজটি আপনার ভাললাগে, সহজে শিখতে পারবেন, সিদ্ধান্ত নিন কোনটা শিখবেন।

মডিউল নাম্বার ৪- বিষয় নির্ধারনের পর সে বিষয়ের উপর বিস্তারিত ধারণা নিন গুগোল এ পরাশুনা করে।

মডিউল নাম্বার ৫- তারপর শুরু করেদিন শিখা। অনেক কাজ আছে যেগুলো সম্পর্কে গুগোল এ সার্চ করলেই সেখান থেকে শিখা যায়। যেমন- ব্লগিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ভিডিও তৈরি, ইবুক রাইটিং, অন্যের সাইট এর জন্য লেখালেখি, এপ তৈরি, ফটো বিক্রি, পেশাগত প্রশ্ন উত্তর দিয়ে, কোন বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে তার কোর্স বানিয়ে বিক্রি, ভার্চুয়াল শিক্ষকতা ইত্যাদি। অনলাইনে শিখতে অনেক সময় এর প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়গুলো কম সময়ে শিখতে ভাল কোন ইনিস্টিটিউট এ ভর্ত হতে পারেন। তবে অবশ্যই যে প্রতিষ্ঠানে শিখতে যাবেন পরিচিতদের কাছ থেকে তার রিভিউ নিয়ে যাচাই করবেন।

শেষ কথা: আমার এ লেখাটি শুধুমাত্র নতুনদের জন্য। আশা করি আপনারা লেখাটি পরে মোটামুটি বিস্তারিত ধারনা পেয়েছেন। যারা এ পেশায় আসতে চান তারা মডিউলগুলো ফলো করলে কাজ শিখা সহজ হবে আশাকরি। একটা কথা মনে রাখবেন কোনো বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন না করে সে কাজের জন্য বিট/এপ্লাই করবেন না। 

আগামীতে ফ্রিলেন্স-আউটসোর্সিং এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক পোস্ট দেয়ার চেস্টা করব।

সাথেই থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *