মৈনট ঘাট

আপনার মনের কস্ট বা বিরক্তবোধকে সাগরে ঢেলে দিতে চাচ্ছেন? মানে সমুদ্র পারে গিয়ে রিফ্রেশ হতে চাচ্ছেন কিন্তু ঢাকার কাছে কোন সমুদ্র না থাকায় সময়ের অভাবে তা করতে পারছেন না। তাহলে ঢাকার দোহারে অবস্থিত পাদ্মার পারের মৈনট ঘাট আপনার জন্য হতে পারেয় আদর্শ স্থান। অনেকে এটাকে মিনি কক্সবাজার ও বলে থাকেন। একা, বন্ধু বান্ধব, কিংবা পরিবার নিয়েও যেতে পারেন এখানে। ঢাকার কাছে এত সুন্দর ও মনোরম জায়গা দেখে নিসন্দেহে আপনার ভাল লাগবে।

মৈনট ঘাট যাওয়ার উপযুক্ত সময়

বর্ষার পর থেকে বসন্তের শেষ পর্যন্ত মৈনট ঘাটে যাওয়ার জন্য উপযোগী। বর্ষায় পানিতে টইটুম্বুর থাকে, অনেকে সেটাও দেখতে যান। অবশ্যই এখানে বিকালের দিকে পৌছানো উচিত নয়তো রোদে কস্ট হতে পারে। ঢাকা বা তার আশপাশ থেকে দুপুরে খেয়ে রওনা দিলেই ভাল। 

মৈনট ঘাটের উপভোগ্য বিষয়

এখানে আপনি পাদ্মার পারে বসে সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন। চাইলে নৌকা, ট্রলার বা স্পিড বোটে পদ্মায় ঘুরতে পারবেন। অনেকেই এখানে গোসল ও করেন আপনিও চাইলে সেই অনুভুতি নিতে পারেন। তবে যারা সাতার পারেন না তাদের বেশি দূরে যাওয়া কিংবা একা নামা উচিত নয়। পদ্মার পারে গেছেন কিন্তু ইলিশ খেয়ে আসেন নাই এমন ঘটনা খুব কমি শুনা যায়। এখানেও তার বেতিক্রম নয়। এখানে কয়েকটি খাবার হোটেল আছে আর তাতে পাওয়া যায় ইলিশ সহ নানা রকম মাছ দিয়ে খাবার সুব্যবস্থা। তবে নৌকা চড়া কিংবা সবকিছুর ক্ষেত্রেই আগে দাম জিঙ্গেস করে নিবেন। 

মৈনট ঘাটে কিভাবে যাবেন?

গুলিস্তান গোলাপ শাহের মাজারের সামনে থেকে দোহারের অনেক বাস যায় তবে সব বাস কিন্তু মৈনট ঘাট পর্যন্ত যায় না। সেক্ষেত্রে আগে জিঙ্গেস করে নিতে হবে মৈনট ঘাটে পর্যন্ত যায় কিনা। অথবা দোহারের অন্য বাসে গেলেও সেখান থেকে অটতে ঘাট পর্যন্ত যেতে পারবেন। গুলিস্তান থেকে মল্লিক পরিবহনে উঠলে দোহার মাঝিরকান্দি নামক স্থানে নামতে হবে, সেখান থেকে অটতে বাশতলা, আবার বাশতলা থেকে অটতে কার্তিকপুর, কার্তিকপুর থেকে আবার অটতে মৈনট ঘাট। অথবা ঢাকার যেকোন যায়গা থেকে নিজস্ব গারি কিংবা সি এন জি ভাড়া করেও যেতে পারেন। 

সতর্কতাঃ মৈনট ঘাট থেকে সন্ধ্যা ৬ টার পর আর কোন বাস ছারেনা। তাই যেখানেই থাকুন ৬ টার মধ্যে বাসে চলে আসতে হবে। অন্যথায় ফেরার পথে গারি না পাওয়ার বিরম্বনায় পরতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *