ফয়েস লেক, কনকর্ড এমিউসমেন্ট ওয়ার্ল্ড

ফয়েসলেক চট্রগ্রাম শহরের খুলশি এলাকায় অবস্থিত। বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে সবুজ পানির কিত্রিম হ্রদ যার চতুর্পাশে সবুজে ঘেরা ছোট বড় পাহাড় এ এক অনন্য পরিবেশ। কনকর্ড গ্রুপ এটিকে যুক্ত করেছে অন্যমাত্রা, তারা এখানে নানা রকম রাইড ও ওয়াটার পার্ক যুক্ত করেছে। ফলে পকৃতি প্রেমী হোক বা হিপ হপ কিংবা ছোট কোন বাচ্চা কাউকেই হতাশ করবেনা কনকর্ড এমিউসমেন্ট পার্ক। এখান থেকে লেক দিয়ে বোটে করে সরাসরি ওয়াটার পার্ক সিওয়ার্ল্ড এ যাওয়া যায়। সিওয়ার্ল্ড এ রয়েছে নানা রকম ওয়াটার রাইড। ফয়েস লেক ও সি ওয়ার্ল্ড ঘুরার জন্য অবশ্যই সারাদিন সময় নিয়ে যেতে হবে। এখানে রয়েছে খাবার জন্য অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট আর থাকার জন্য হোটেল ও কটেজ। তবে সবকিছুর ই আগে মূল্য জিঙ্গেস করে নিলে ভাল, নয়তো বেশি চার্জ করতে পারে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ লেক ও পাহাড়ের মনমুগ্ধকর পরিবেশের সাথে কিত্রিম পার্ক দেখতে ছুটে আসেন।

দেশের অন্য জেলা থেকে ফয়েজ লেক যাওয়ার উপায়

দেশের যেকোন জায়গা থেকে ফয়েস লেক আসতে হলে আগে চট্রগ্রাম আসতে হবে। প্রায় সব বাস ই চট্রগ্রাম আসে। দুরুত্ব অনুযায়ী একেক জায়গা থেকে বাস ভাড়া একেক রকম। তাছাড়া ট্রেনে ঢাকা, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, আখাউরা, ফেনি, নোয়াখালী, মিরসরাই, সিলেট, মউলোভী বাজার এসব জায়গা থেকে আসা যায়। চাইলে বিমানে করেও চট্রগ্রাম এসে ফয়েস লেক আসতে পারেন। চট্রগ্রাম এসে চট্রগ্রাম থেকে ফয়েসলেক যাওয়ার নিম্নলিখিত উপায়ে যেতে পারেন। 

চট্রগ্রামের বিভিন্ন যায়গা থেকে ফয়েসলেক যাওয়ার উপায়।

চট্রগ্রামের কালুরঘাট, রাস্তার মাথা, বহদ্দার হাট, এসব জায়গা থেকে ২ নাম্বার ও ১০ নাম্বার গাড়িতে করে জি ই সির মোড় নেমে ওখান থেকে মাহিন্দ্রা অটতে বা ৪ নাম্বার নাম্বার বাসে ফয়েসলেক গেঁটে নামতে পারবেন। 

নতুন ব্রিজ, বহদ্দার হাট থেকে ৪ নাম্বার ছোট রাইডার বা রেইঞ্জার এ করে জি ই সির মোড়ে নেমে ওখান থেকে মাহিন্দ্রা অটতে বা ৪ নাম্বার বাসে ফয়েসলেক গেঁটে নামতে পারবেন। 

নিউ মার্কেট থেকে ৪ নাম্বার বাসে সরাসরি ও ৮ নাম্বার বাসে জি ই সি এসে ওখান থেকে মাহিন্দ্রা অটতে বা ৪ নাম্বার নাম্বার বাসে ফয়েসলেক আসা যায়। 

অক্সিজেন থেকে ৮ নাম্বার বাসে জি ই সির মোড় নেমে উপরের নিয়মে যেতে পারেন। 

ভাটিয়ারি, কর্নেল হাট, এসব যায়গা থেকে ৪ নাম্বার বাসে ফয়েসলেক আসা যায়।

ফয়েজ লেকের টিকেট মূল্য

ফয়েজ লেকের প্রবেশের টিকেটের মূল্য – ৩০০ টাকা (সাথে একটি আইসক্রিম ফ্রি) রাইড সহ প্রবেশ মূল্যঃ ৩৫০ টাকা।

সী ওয়ার্ল্ডে ৪০০, ৫০০, ও ৬০০ টাকার ৩ ধরণের প্যাকেজ আছে জিঙ্গেস করে পছন্দমত পেকেজ নিতে পারবেন। 

ফয়েজ লেকের সময়সূচী

শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার ও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফয়েজ লেক খোলা থাকে।

যোগাযোগ

ঢাকা অফিস: 8833786, 9896482, 01913-531386 

চট্টগ্রাম অফিস: 031-2566080, 01913-531554, 01913-531480 

ওয়েবসাইট: https://foyslake.com

ফয়েজ লেক এ রিসোর্ট এর ভাড়া

ফয়েজ লেকের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আছে বিলাসবহুল থাকার ব্যবস্থা। পাহাড়ের ধারে লেকের পাড়ে রয়েছে দারুন সব কটেজ ও রিসোর্ট। নবদম্পতিদের জন্য রয়েছে হানিমুন কটেজ। ফয়েজ লেক রিসোর্টে প্রতিদিন রাত যাপন দুই হাজার ৫০০ থেকে সাত হাজার টাকা এবং রিসোের্ট বাংলোয় প্রতিদিন রাত যাপন দুই হাজার ৫০০ থেকে ছয় হাজার টাকা।

ফয়েসলেকের কাছে থাকার জায়গা

চট্টগ্রামে বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে পছন্দমত যেকোনটিতে থাকতে পারেন। বাজেটের মধ্যে ভাল মনের কয়েকটি হোটেলের বিস্তারিত নিচে দেয়া হল।

হোটেল প্যারামাউন্ট, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম: দেশের অন্যকোন যায়গা থেকে ট্রেনে আসলে স্টেশনের কাছেই এই হোটেল থাকতে পারেন স্টেশন থেকে বের হয়ে ঠিক বিপরীতে এটির অবস্থান। ভাড়া নন এসি সিঙ্গেল ৮০০ টাকা, ডাবল ১৩০০ টাকা, সিঙ্গেল এসি ১৪০০ টাকা ডাবল ১৮০০ টাকা। এডভান্স বুকিং এর জন্য কল করতে পারেন এই নাম্বারে: ০৩১-২৮৫৬৭৭১, ০১৭১-৩২৪৮৭৫৪

হোটেল এশিয়ান এসআর, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম: এটিও স্টেশনের কাছেই অনেক সুন্দর একটা হোটেল। ভাড়া : ১০০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা। বুকিং এর জন্য কল করতে পারেন এই নাম্বারে ০১৭১১-৮৮৯৫৫

হোটেল সাফিনা, এনায়েত বাজার, চট্টগ্রাম: এটি স্টেশন থেকে একটু দূরে মাঝারি মানের হোটেল, রিকশা ভাড়া নিবে ২০ টাকা। এই হোটেলের ছাদে সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে রাতের বেলা বসলে বেশ ভাল লাগে। ভাড়া: ৭০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা। বুকিং এর জন্য কল করতে পারেন এই নাম্বারে ০৩১-০৬১৪০০৪।

হোটেল নাবা ইন, রোড ৫, প্লট-৬০, ও, আর নিজাম রোড, চট্টগ্রামঃ এটি ট্রেন স্টেশন থেকে একটু দূরে তবে বাসে আসলে কাছেই পরবে। আর এটি ফয়েসলেকের কাছেই। এটির ভাড়া আগেরগুলোর চেয়ে একটু বেশি মান ও ভাল। ভাড়া : ২৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা। বুকিং এর জন্য কল করতে পারেন এই নাম্বারে ০১৭৫৫ ৫৬৪৩৮২।

চট্রগ্রামে কোথায় খাবেন

চট্রগ্রাম শহরের প্রায় সব জায়গাতেই রেগুলার খাবার হোটেল থেকে শুরু করে ভাল মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। পছন্দমত যেকোনটিতে খেতে পারেন। তবে অন্তত একবার হলেও চট্রগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের খাবার খেতে ভুলবেন না। 

ফয়েসলেকের লোকেশন

আরো পড়ুনঃ
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত – চট্রগ্রাম
চট্রগ্রাম সিটিতে বেরানোর জায়গা
যমুনা ফিউচার পার্ক (Jamuna Future Park)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *