প্রাকৃতিক সোন্দর্যের লিলাভুমি চট্রগ্রাম। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর্শনিয় স্থান রয়েছে এই চট্রগ্রামে। ভ্রমন পিপাসু মানুষের দেশের মধ্যে ভ্রমনের জন্য প্রথম পছন্দ চট্রগ্রাম বিভাগ। হবেনাই বা কেন পাহাড়, নদী, সমুদ্র, লেক কি নেই চট্রগ্রামে। চট্রগ্রাম সিটির মধ্যেই রয়েছে বেশকিছু দর্শনিয় স্থান। যার মধ্যে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত অন্যতম। চট্রগ্রামের মানুষ কতইনা ভাগ্যবান তাই না। বাড়ির কাছেই সমুদ্র। ইচ্ছে হলেই চলে যেতে পারেন সমুদ্রের পারে। আপনি যদি চট্রগ্রাম আসেন তাহলে অববশ্যই পতেঙ্গা সি বিচ কে বাকেট লিস্ট এ রাখবেন।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কি কি দেখবেন
পুরো চট্রগ্রামের একপাশ জুরে বয়ে গেছে বঙ্গউপসাগর। তাই চট্রগ্রামের মানুষ চাইলেই হুট হাট সমুদ্রস্নানে যেতে পারেন। পতেঙ্গা বিচ খুব বর না হলেও এখানে অন্যরকম সোন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। কারন এখানে সমুদ্রতো আছেই সাথে বাধ রক্ষার জন্য ফেলা ব্লক আর বেশকিছু দিন আগে সোন্দর্য বর্ধনের জন্য বেশকিছু কাজ করা হয়েছে। যা দেখলে আপনার মনেহতে পারে দুবাই বা অন্যকোন দেশের মত। আরো আছে সারি সারি ঝাউ বন যার ছায়ায় প্রিয়জনের সাথে বসে সময় কাটানো আপনার জন্য স্বরনিয় হয়ে থাকবে। এখানে আপনি সনুদ্রে নেমে গোসল করতে পারবেন। ইচ্ছে হলেই স্পিড বোটে করে সমুদ্রে কিছুটা ঘুরে আসতে পারবেন। আরো পারবেন ঘোড়ায় চরতে বা ঘোড়ায় বসে ছবি তুলতে। এছাড়াও রয়েছে বেশকিছু দোকান যেখানে নানান রকম আকর্ষনিয় জিনিস পাওয়া যায়।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কোথায় খাবেন।
এখানে চটপটি ফুসকার দোকান সহ ছোট বর অনেক খাবারের হোটেল ও রেস্টুরেট রয়েছে। যেখানে আপনারা পছন্দমত খাবার খেতে পারবেন। তবে খাবারের মূল্য অবশ্যই আগে জেনে নিবেন। কারণ কিছু আসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার জন্য মাত্রাতিরিক্ত দাম নিতে চান।
পতেঙ্গা সিবিচে কিভাবে যাবেন?
চট্রগ্রামের কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বহদ্দার হাট বাস টার্মিনাল, বহদ্দার হাট, মুরাদপুর, ২ নাম্বার গেইট, জি ই সির মোড়, লালখানবাজার, টাইগার পাস, আগ্রাবাদ এসব জায়গা থেকে ১০ নাম্বার বাসে করে পতেঙ্গা সিবিচ যেতে পারবেন। চট্রগ্রাম রেল স্টেশনের সামনে থেকে ৬ নাম্বার বাসে করে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত যাওয়া যায়। এছাড়া পর্যটক বাসে করে চট্টগ্রাম মহানগরীর টাইগার পাস হতে ফৌজদারহাট ডিসি পার্ক হয়ে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত পর্যন্ত পর্যটক বাস চলাচল করবে। প্রতি শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা, সকাল সাড়ে ১০টা, বিকেল ৩টা ও বিকেল ৪টা, এবং রবি থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা, বিকেল ৪টা এবং শুক্রবার সকাল ৯টা, বিকেল ৩টা, বিকেল ৪টায় চলাচল করবে। তাছাড়া চট্রগ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে গারি পরিবর্তন করে করে ও রিজার্ভ বা প্রাইভে যেকোন গাড়িতে পতেঙ্গা সি বিচে যেতে পারবেন।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কোথায় থাকবেন?
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্রগ্রামের কাছে হওয়ায় বিচের কাছে বলার মত তেমন কোন আবাসিক হোটেল বা রিজোর্ট গোড়ে উঠেনি। চট্রগ্রামের বাইরে থেকে যারা আসেন যোগাযোগের সুবিধার্থে প্রায় সবাই চট্রগ্রাম সিটির মাঝা মাঝি হোটেলগুলোতে থাকেন। সি বীচের কাছাকাছি থাকতে চাইলে বাটারফ্লাই পার্ক রিজোর্টে থাকতে পারেন। এখানে একদিনের জন্য রুম প্রতি ভাড়া ৪০০০ টাকা থেকে ৭০০০ তাকা পর্যন্ত।
বিশেষ নোটঃ যারা সাঁতার জানেন না তারা একা বা সমুদ্রে নামবেন না এবং বেশি পানিতে যাবেন না।