প্রায় এক দশক থেকেই মাওয়া ফেরি ঘাট ঢাকা ও আশেপাশের মানুষের কাছে একটি ভ্রমনের যায়গায় পরিণত হয়েছে। এখানে মানুষ বন্ধুবান্ধব ও পরিবার পরিজনদের নিয়ে সময় কাটাতে ও ইলিশ খেতে আসেন।
কয়েক দশক থেকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত এই মাওয়া ফেরিঘাট ছিল অত্যন্ত কর্মচঞ্চল। ভিড় জমে থাকত ফেরি, গারি, ট্রলার, স্পিড বোট, ইত্যাদিতে। আর তখন থেকেই প্রথমে কর্মব্যস্ত ও জতায়াতকারি মানুষের জন্য গরে উঠে খাবার হোটেল। আর পদ্মার পারে হওয়ায় এখানকার কমন খাবার ইলিশ সাথে নানান প্রজাতির মাছ।
মাওয়া ঘাটে উপভোগ্য বিষয়
প্রথমে প্রয়োজনের তাগিদে হলেও পরে আস্তে আস্তে ঢাকার ভ্রমন পিপাসু মানুষ নদী দেখতে ও ইলিশ খেতে পদ্মার পারে যাওয়া শুরু করে। আর সেই সুবাদে এখানে গরে উঠে প্রজেক্ট হিলশা রেস্টুরেন্ট সহ ছোট বড় অসংখ্য হোটেল রেস্টুরেন্ট। আর এখনতো নদী দেখা ও ইলিশ খাওয়া ছাড়াও ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেওয়ে ও হয়েছে দেখার মতন। আর এর মাঝে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ ও বহুমুখী পদ্মা সেতুতো আছেই।
ঢাকা থেকে যেতে পরিকল্পিত এক্সপ্রেসওয়ে দেখে আপনার মনে হতে পারে আপনি বাংলাদেশ নয় বরং উন্নত কোন দেশের রাস্তায় আছেন। যাদের বাজেট থাকবে বা ব্যক্তিগত গাড়ি আছে তারা চাইলে একেবারে পদ্মা ব্রিজ পার হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ঘুরে আসতে পারেন।
এছাড়া পদ্মা নদীর পারে বসে সূর্যাস্ত দেখা আর সন্ধার পরতো নদীর পারে বসে সময় কাটানোতে অন্যরকম ভাল লাগা কাজ করে। নৌকা, ট্রালার, বা স্পিড বোটে পদ্মায় ঘুরে বেড়ানো। আবার অনেকের টাকা কম থাকলেও টাকা জমিয়ে প্রজেক্ট হিলশায় খেতে জান। যেখানে আপনি মাছ দেখে কিনে সেটা রান্না করে দিতে বলতে পারেন।
অনেকেতো নদীতে গোসল ও করেন, তবে সেক্ষেত্রে যারা সাতার জানেন না তাদের নদীতে না নামাই ভাল, সাতার জানালেও একা নামা উচিত নয় কারণ নদীর স্রোত গভিরে নিয়ে যেতে পারে।
মাওয়া ঘাটে কখন যাবেন
এখানে বছরের যেকোন সময় ই যেতে পারেন। তবে সকালে না গিয়ে দুপুরে রওনা দেয়া ভাল। ব্যক্তিগত গাড়ি থাকলে এখানে অনেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ও সময় কাটান। তাছাড়া রাত ১০ টা ১১টা পর্যন্ত লোকাল গাড়ি চলে এর পরেও চলে তবে খুব কম।
মাওয়া ঘাটে কিভাবে যাবেন
গুলিস্তান ও যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া ও ভাঙ্গো পর্যন্ত অনেক বাসই যায়। এখানে আসলেই দেখবেন ডাকছে। তাছাড়া মিরপুর, ফার্মগেট, শাহবাগ থেকে স্বাধীন পরিবহন যায়। উঠার আগে জিঙ্গেস করে নিবেন মাওয়া যায় কিনা। কারণ সিটিতে অন্য একটা স্বাধীন পরিবহন চলে যেটা মোহাম্মদপুর থেকে ডেমরা যায়।
এছাড়া ব্যক্তিগত কিংবা রিজার্ব গাড়িতে যেকোন যায়গা থেকে যেতে পারেন মাওয়া ঘাটে।