একটু কাঁদো । হাসির ছোট গল্প

বরের বিপুল অর্থবিত্ত, বাড়িগাড়ির কথা শুনে পাত্রী তো বটেই, পাত্রীর দাদী না নানীরও কেমন যেন রাজি রাজি ভাব। আগাম দেখাসাক্ষাত ছাড়াই বিয়ে হয়ে গেল। পারিবারিক রীতি অনুযায়ী বরকে কনের দরজায় দাঁড় করিয়ে দেয়া হল। মুখঢাকা পরদাদেয়া জামাইটুপি পরে বর দাঁড়িয়ে আছে। চিকন ঘোমটা দেয়া নববধূ বেরিয়ে এল। কনের হাত ধরে বর হাঁটা দিল। কনের অবস্থা দেখে বর কেমন যেন বিহ্বল। এ সময় তো কনেরা কান্নাকাটি করে। এই বিচ্ছু মেয়ে দেখি কান্না দূরে থাক, সামান্য হেঁচকিও তুলছে না। জামাই একটু ইতস্তত করে হবুস্ত্রীর কানে কানে বলল,

-একটু কাঁদো!

বিবি নির্বিকার। গটগট করে কাঁদছে। কিছুদূর গিয়ে বর আবার বিবির কানে কানে মন্ত্রপড়া দিল, একটু কাঁদো না সখি। না কাঁদলে সবাই কী ভাববে বলো দেখি। বিবি নির্বিকার। বিবির গটগট ভাব দেখে, ভবিষ্যতের ‘দজ্জাল’ চিত্র কল্পনা করে শিউরে উঠে ফুঁপিয়ে উঠল। বিবি তখনও নির্বিকার। গাড়িতে ওঠার আগেও জামাই শেষচেষ্টা করল। উঁহু, সখি কাঁদিল না। কী আর করা। বিবিকে পাঁজাকোলা করে গাড়িতে তুলল। নিজেও গাড়িতে উঠে মুখঢাকা জামাইটুপি সরাতেই চিকন ঘোমটার ফাঁক দিয়ে কনের নেকনজর পড়ল বরের ওপর। এবার বিবি আকাশপাতাল এক করে সব হারানোর ভঙ্গিতে কেঁদে উঠল।

আরো পড়ুনঃ চা বাসর । একটি হৃদয় প্রশান্তকারী গল্প

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *