আপনার যদি খুব বেশি জার্নি করতে ভাল না লাগে, তাহলে চলে যেতে পারেন ঢাকার মধ্যেই চমৎকার একটি জায়গা ঠিকানায়। ফুলে ফুলে ভরা এই ঠিকানা ডেআউটের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি ঢাকার বেরাইদ এ অবস্থিত। আমি গেরান্টি দিয়ে বলতে পারি এক জায়গায় এত ফুল আপনি এই ঠিকানা ছারা কোথাও পাবেন না। দেশি বেদেশি হাজার হাজার ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে ঠিকানা ডে আউটার্স বা ঠিকানা রেস্টুরেন্ট। তাই এটি বিশেষ করে কাপলদের জন্য রেকমেন্ডেড। এছাড়াও চমৎকার এই রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্টটি চাইলে বিবাহ, জন্মদি্ গায়ে হলুদ, পিকনিক ও কর্পোরেট বা পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া করতে পারেন।
ঠিকানা রিসোর্ট এ যা যা দেখবেন
ঠিকানা রিজোর্টের মূল আকর্শন ফুল। পুরো রিজোর্টের সবখানেই ফুলে ফুলে সুসজ্জিত যা দেখলেই চোখ ও মনে প্রশান্তি পাওয়া যায়। মূল স্থাপনা হচ্ছে মুন্সিগঞ্জ এলাকার কাঠের বাড়ির মত করে বানানো ২ তলা বিশিস্ট দৃস্টিনন্দন কাঠের বাড়ি যার ভিতর বাইরে ফুলে ফুলে ভরা। এই বাড়ির ২য় তলায় বসে সময় কাটানো সবচেয়ে ভাললাগার। এখানে বসে দেখতে পারবেন আশেপাশের ফসলি জমি ও নদী। এটা ছাড়াও রিজোর্টের এমন অনেক জায়গা আছে যাগুলোতে বসে চমৎকার সময় কাটানো যায়।
এখানকার আরো একটি বিশেষ আয়োজন হচ্ছে গ্রাম্য উপায়ে রান্না করা খাবার খাওয়া। যেমন মাটির চুলা, পাটা-পুতায় বানানো মশলা দিয়ে রান্না, মাটির থালাবাটিতে খাবার পরিবশন ইত্যাদি। এটার জন্য অবশ্য ১ দিন আগেই এডভান্স করে কনফার্ম করতে হয়। এখানকার মিনিমাম পেকেজ ৪ জনের। তবে এই পেকেজগুলোর মূল্য অনেক বেশি ই মনে হয়েছে আমার কাছে। অবশ্য বেশি হলেও অনেকে শখ করে এখানে খান।
এখানে আরো আছে দৃস্টিনন্দন ভাবে সাজানো রেস্টুরেন্ট ও বাচ্চাদের জন্য কিডজ জোন।
যেকেউ চাইলে এখানকার নার্সারি থেকে ফুলের গাছ কিনে নিয়ে যেতে পারবেন।
এই জায়গাটা দিনে যেমন সুন্দর রাতেও ঠিক তেমনি মনোমুগ্ধকর।
ঠিকানা রিসোর্ট এ কিভাবে যাবেন
ঠিকানা ডে আউটার্স যেহেতু ঢাকার মধ্যেই তাই এখানে যাওয়া খুবি সহজ। যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ, কমলাপুর, খিলগাও, রামপুরা এসব জায়গা থেকে অনাবিল ও তুরাগ বাসে করে গুলশান নতুন বাজার নামতে হবে। গুলিস্তান, শান্তিনগর, ফকিরাপুল এসব জায়গা থেকে গ্রীন ঢাকা, প্রচেষ্টা, বলাকা স্পেশাল, সহ আরো কয়েকটি বাসে নতুন বাজার আসতে পারবেন। মিরপুরের দিক থেকে রাজধানী পরিবহন, ও অছিম পরিবহনে নতুন বাজার আসতে পারবেন। টঙ্গী, অবদুল্লাহপুর, উত্তরা থেকে আসতে পারবেন অনাবিল, তুরাগ, আসমানি, রাইদা ইত্যাদি বাসে। এবং ডেমরা, বনশ্রি, রামপুরা ব্রিজ এসব জায়গা থেকে আসতে পারেন আসমানি, অসিম, ও রাজধানী বাসে। নতুন বাজার থেকে লেগুনা, অটো, বা সিএনজিতে সরাসরি ঠিকানায় চলে যেতে পারবেন।
এছাড়া বেক্তিগত বা রিজার্ব গারিতে তো যেতেই পারেন। উল্লেখ্য অন্যান্য জায়গার মত এখানে কোন পার্কিং ফি লাগে না।
ঠিকানা রিসোর্ট এর খরচ
লোকাল গারিতে গেলে ভারাতো খুবএকটা লাগছেনা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্নরকম হবে যা ১০০-২০০ টাকার মধ্যে। রিজার্ব সিএনজি বার কার এ গেলে হয়তো ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাগবে।
তবে এখানে ঢুকতে হলে ৩০০ টাকা দিয়ে টিকেট নিতে হয়। টিকেট ছাড়াও ফ্রিতে ঢুকা যায় খাবার এর পেকেজ নিলে। তবে খাবারের উচ্চমূল্য আদায়ের মাধ্যমে যা আসলে এডজাস্ট হয়ে যায়।
আর গ্রাম্য স্টাইলে খাবার এর ৪ জনের পেকেজের মূল্য শুরু হয় ৪৮০০ টাকা থেকে।
যেকোন অনুষ্ঠানের বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুন এই নাম্বারে – 01755-500065
আরো পড়ুনঃ
ঢকা সিটিতে ৫ টি বেরানোর জায়গা
মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ