প্রতিদিন কর্মব্যস্ত সময় পার করতে করতে যখন আমরা বিরক্ত হয়ে যাই আমাদের সবার ই মন চায় পরিবার, বন্ধু বা কাছের মানুষকে নিয়ে একটু ঘুরে বেরানোর। অথবা সন্তান্দেরও মাঝে মাঝে ঘর থেকে বাইরে কোথাও থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসা। এতে করে সন্তানদের মন প্রফুল্ল হয়।
আজকে আমরা আলোচনা করব ঢাকার মধ্যে প্রিয়জনদের নিয়ে বেরানোর মত ৫ টি স্থান নিয়ে। কোলাহল্পূর্ণ এই ঢাকা মহানগরীতে প্রাচীন স্থাপনা থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক স্থাপনা, পার্ক, যাদুঘর, চিড়িয়াখানা সহ আছে নানান কিছু। সেগুলো থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করব আমরা। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে বেরানোর স্থানগুলো সম্পর্কে জানি।
1. লালবাগ কেল্লা
ঢাকার মধ্যে দেখার মত জায়াগার কথা বলতে হলে প্রথমেই বলতে হয় লালবাগ কেল্লার কথা। বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন এই লালবাগ কেল্লা। ম্নোমুগ্ধকর এই স্থানটিকে আওরঙ্গবাদ কেল্লা নামেও অবিহিত করা হয়। এটি ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত একটি অসমাপ্ত মুঘল দুর্গ।
এটির নির্মান কাজ শুরু হয় ১৬৭৮ সালে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র সুবেদার মুহাম্মদ আজম শাহ্ কর্তৃক (পরবর্তিতে তিনিও সম্রাট পদপ্রাপ্ত হয়েছিলেন)। প্রবর্তিতে তিনি দিল্লি চলে গেলে এটির নির্মানকাজ বন্ধ হয়ে যায়। এর পর ১৬৮০ সালে মুহাম্মদ আজম শাহ্ এর উত্তরসূরি মুঘল সুবাদার শায়েস্তা খাঁ পুনরায় নির্মানকাজ শুরু করেন। কিন্তু শায়েস্তা খাঁর কন্যা পড়ি বিবি মারা যাওয়ায় তিনিও এই দূর্গের নির্মানকাজ বন্ধ করে দেন।
এখানে রয়েছে মসজিদ, দরবার হল, পরী বিবির সমাধি, প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত মজবুত দুর্গ প্রাচীর। দক্ষিণস্থ দুর্গ প্রাচীরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে আছে একটি বিরাট বুরূজ। দক্ষিণস্থ দুর্গ প্রাচীরের উত্তরে ছিল কয়েকটি ভবন, আস্তাবল, প্রশাসনিক ভবন, এবং পশ্চিম অংশে জলাধার ও ফোয়ারা সহ একটি সুন্দর ছাদ-বাগানের ব্যবস্থা ছিল। আবাসিক অংশটি ছিল দুর্গ প্রাচীরের পশ্চিম-পূর্বে, প্রধানত মসজিদটির দক্ষিণ-পশ্চিমে। দক্ষিণের দুর্গ প্রাচীরে নির্দিষ্ট ব্যবধানে ৫ টি বুরুজ ছিল উচ্চতায় দুই তালার সমান, এবং পশ্চিমের দুর্গ প্রাচীরে ছিল ২ টি বুরুজ যার সবচেয়ে বড়টি ছিল দক্ষিণস্থ প্রধান প্রবেশদ্বারে।
লালবাগ কেল্লা খোলা থাকে মঙ্গলবার হতে শনিবার গ্রীষ্মকালে সকাল ১০:০০ টা থেকে বিকাল ০৬:০০ টা পর্যন্ত। আর শীতকালে খোলা থাকে সকাল ০৯:০০ টা থেকে বিকাল ০৫:০০ টা পর্যন্ত। দুপুর ০১:০০ টা থেকে ০১:৩০ টা পর্যন্ত বিরতি।
শুক্রবার দুপুর ০১:০০ ঘটিকা হতে ০২:০০ ঘটিকা পর্যন্ত বিরতি।
সোমবার খোলা থাকে দুপুর ০২:০০ টা থেকে বিকাল ০৫:০০ টা পর্যন্ত।
আজিমপুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে রিকশায় লালবাগে যাওয়া যায় ভাড়া ২০-৩০ টাকা। গুলিস্তান ও সাহবাগ এসব জায়গা থেকেও রিক্সা বা সি এনজিতে লালবাগে যেতে পারেন। সদরঘাট লঞ্চটার্মিনাল থেকে বাবু বাজার হয়েও লালবাগে যাওয়া যায়।
2. আহসান মঞ্জিল
ঢাকা সিটির আরো একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা এই আহসান মঞ্জিল, এটি আহসান মঞ্জিল জদুঘর নামো পরিচিত। এটিও বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে সদরঘাটের পাশে ইসলামপুরে অবস্থিত। এটি দেশের পুরোনো নান্দনিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। নবাব পরিবারের অসংখ্য সৃতি জরিয়ে আছে এই আহসান মঞ্জিল এ।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ ইনায়েতউল্লাহ বর্তমানে যেখানে আহসান মঞ্জিল সেখানে রংমহল নামে একটি রংমহল তৈরি করেন। পরে উনার ছেলে শেখ মতিউল্লাহ রংমহলটি ফরাসি বণিকদের নিকট বিক্রয় করে দেন। বাণিজ্য কুঠি হিসাবে এটি দীর্ঘদিন ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৮৩০ সালে বেগমবাজারে বসবাসকারী খাজা আলীমুল্লাহ বাণিজ্য কুঠিরটি ক্রয় করে বসবাস শুরু করেন।
পরবর্তিতে ১৮৫৯ সালে খাজা আলীমুল্লাহর পুত্র খাজা আবদুল গনি মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানী নামক একটি ইউরোপীয় নির্মাণ ও প্রকৌশল-প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে আহসান মঞ্জিল এর মাস্টারপ্ল্যান করান। এটি নির্মানে সময় লাগে ১৮৫৯-১৮৭২ সাল পর্যন্ত। নওয়াব আবদুল গনি তার প্রিয় পুত্র খাজা আহসানুল্লাহর নামানুসারে এর নামকরণ করেন ‘আহসান মঞ্জিল’।
১৮৮৮ সালের ৭ এপ্রিল ভূমিকম্পে আহসান মঞ্জিলের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে মেরামতের সময় বর্তমান উঁচু গম্বুজটি স্থাপন করা হয়। তখনকার সময়ে ঢাকা শহরে আহসান মঞ্জিলের মতো ভবন আর ছিল না। এর প্রাসাদোপরি গম্বুজটি বহুদূর থেকে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করত।
১৯৫২ সালে জমিদারী প্রথা উচ্ছেদ আইনের আওতায় ঢাকা নওয়াব এস্টেট সরকার অধিগ্রহণ করে নেয়। তবে নওয়াবদের আবাসিক ভবন এবং বাগানবাড়িসমূহ অধিগ্রহণের আওতামুক্ত ছিল। কালক্রমে নওয়াব পরিবারের অর্থাভাব ও প্রভাব প্রতিপত্তি হারিয়ে যাওয়ার ফলে আহসান মঞ্জিলের রক্ষণাবেক্ষণ দুরূহ হয়ে পড়ে। নওয়াব পরিবারের সদস্যরা ১৯৬০’র দশকে এখানে থাকা মূল্যবান দ্রব্যাদি নিলামে কিনে নেয়।
এটি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর এর আওতায় একটি যাদুঘর হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০.৩০ থেকে বিকাল ৪.৩০ পর্যন্ত। শুক্রুবার দুপুর ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বন্ধ।
https://www.ahsanmanzilticket.gov.bd/ লিংক এ গিয়ে অনলাইনে টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন।র
ঢাকার যেকোন জায়গা থেকে সদরঘাটগামী বাসে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে নেমে হেটে বা রিক্সায় আহসান মঞ্জিল যাওয়া যায়। যাত্রাবাড়ী থেকে রেঞ্জার গারিতে করে সদরঘাট নেমে হেটে বা রিক্সায় যেতে পারবেন। গুলিস্তান লেগুনা, রিক্সা বা সিএনজিতে যাওয়া যায়।
তাছাড়া ভিন্ন ফিল নিতে চাইলে গুলিস্তান গোলাপ শাহের মাজারের সামনে থেকে ঘোরার গারিতে সদরঘাট আসতে পারেন।
3. জাতীয় জাদুঘর
মূলত ১৯১৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি কক্ষে প্রথম ঢাকা জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগ্রহ বারতে থাকায় ১৯১৪ সালে আরো দুইটি কক্ষ বাড়ানো হয় জাদুঘরের জন্য। ঢাকা জাদুঘর সর্বপ্রথম 25 আগস্ট 1914 সালে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তখন প্রদর্শনির জন্য ৩৭৯ টি বস্তু ছিল জাদুঘরে। 1915 সালের জুলাই মাসে নিমতলীর বড়দরি ও গেটহাউসে স্থানান্তরিত করা হয়। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান শাসন আমলে এটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান ও ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পরিচালিত হলেও স্বাধীনতার পর 17 নভেম্বর 1983 তারিখে শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছিল।
আমাদের সকলের উচিত বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতার সঙ্গে পরিচিত হবার জন্যে জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন করা। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই নিয়ে যাওয়া উচিত। বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার জন্য শিক্ষা ভ্রমনের এক উপযুক্ত স্থান জাতীয় জাদুঘর। এখানে আসলে আপনি দেখতে ও জানতে পারবেন বাংলাদেশের বিবর্তন কিভাবে হয়েছে। কেমন ছিল আমাদের পূর্বপুরুষদের জীবনাচার। আরো জানতে পারবেন আমাদের শিল্প, সংস্কৃতি, মুদ্রা, যুদ্ধাস্ত্র, বাদ্যযন্ত্র, পোশাক-আশাক, আসবাবপত্র, স্বাধীনতার ইতিহাস, বিশিষ্টজনদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, আমাদের দেশের জীববৈচিত্র সহ আরো অনেক কিছু সম্পর্কে।
শনিবার-বুধবার: সকাল ১০.৩০- বিকাল ০৪.৩০ পর্যন্ত
শুক্রবার: বিকাল ০৩.০০ – রাত ৭.০০ পর্যন্ত
সাপ্তাহিক বন্ধ : বৃহস্পতিবার
প্রবেশমূল্য:
বাংলাদেশী নাগরিক: ৪০ টাকা
শিশু (০৩ – ১২ বছর) : ২০ টাকা
সার্কভুক্ত দেশের নাগরিক : ৩০০ টাকা
অন্যান্য দেশের নাগরিক: ৫০০ টাকা
যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, মিরপুর, উত্তরা প্রায় সব জায়গা থেকেই সাহবাগ এর বাস চলাচল করে খোজ নিয়ে যেকোনোটাতে করে আসতে পারবেন। এছাড়া নিজস্ব গারি অথবা উবার, পাঠাও, কিংবা সিএনজি দিয়েও সরাসরি জাদুঘরের সামনে আসতে পারেন।
4. বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
জাতীয় চিড়িয়াখানা ঢাকার মিরপুরে গাছপালা ঘেরা মোনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়েতোলা হয়েছে। দেশের জনগনের বিনোদন আর প্রানী বৈচিত্রের সাথে পরিচিত ও জ্ঞান অর্জনের জন্য ১৯5০ সালে ঢাকার হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে অল্পকিছু বন্যপ্রানী নিয়ে প্রথম চালু করা হয়েছিল ঢাকা চিড়িয়াখানার। পরবর্তিতে ১৯৭৪ সালে মিরপুরে বৃহৎ পরিসরে বর্তমান জাতীয় চিড়িয়াখানাটি চালু করা হয়। ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা চিড়িয়াখানার নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা করা হয়। মিরপুর জাটিয় চিড়িয়াখানায় বর্তমানে বাঘ, সিংহ, গন্ডার, জলহস্তী, কুমীর, জেব্রা, জিরাফ, হাতি, ঘোড়া ইত্যাদি সহ ১৯১ প্রজাতির প্রায় ২২০০ প্রাণী রয়েছে। এখানকার প্রাণী ছাড়াও সবুজে ঘেরা প্রাকিতিক পরিবেশ আপনাকে ভাল লাগার অনুভুতি দিবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে বেরানোর জন্য জাতীয় চিড়িয়াখানা একটি আদর্শ জায়গা।
চিড়িয়াখানার ভিতরে একটি জাদুঘর ও আছে। তাছাড়া এখানে আছে উৎসব ও নিঝুম নামে ২ টি পিকনিক স্পট ও ২ টি লেক। পিকনিক স্পট এর জন্য চাইলে যেকেউ তা ভাড়া নিতে পারেন।
মিরপুর চিড়িয়াখানা প্রতি রবিবার ব্যতিত প্রতিদিন খোলা থাকে। তবে রবিবার যদি সরকারি কোন বন্ধ থাকে সেক্ষেত্রে রবিবার ও খোলা থাকে।
এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস মানে গৃস্মকালে সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা 6 টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আর নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মানে শীতকালে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল 5 টা পর্যন্ত চিড়িয়াখানা খোলা থাকে।
প্রবেশমূল্যঃ
শিক্ষারথী ব্যতিত ২ বছর বয়সের অধিক প্রত্যেকের জন্য ৫০ টাকা মূল্যের টিকেট বাধ্যতামূলক।
শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ২৫ টাকা সেক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষার্থীর আইডিকার্ড সাথে থাকতে হবে।
চিড়িয়াখানার ভেতরের জাদুঘরে প্রবেশের টিকেট এর মূল্য ১০ টাকা। প্রতিবন্ধীরা বিনামূল্যে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পারেন।
উৎসব ও নিঝুম নামে ২ টি পিকনিক স্পট এর ভাড়া যথাক্রমে ১০০০০ ও 6০০০ টাকা।
জাতীয় চিড়িয়াখানা মূলৎ মিরপুর ১২ তে অবস্থিত। ঢাকার প্রায় সব জায়গা থেকেই এখানকার বাস পাওয়া যায়। তাছাড়া নিজস্ব পরিবহন অথবা কার নাহলে সিএনজি অটোরিক্সায় করে সরাসরি চিড়িয়াখানায় আসতে পারেন।
5. ঠিকানা রিজোর্ট
ঠিকানা ডে আউটার্স ঢাকার বেরাইদ এ অবস্থিত। আমি গেরান্টি দিয়ে বলতে পারি একজায়গায় এত ফুল আপনি এই এখানে ছারা কোথাও পাবেন না। দেশি বেদেশি হাজার হাজার ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে ঠিকানা রেস্টুরেন্ট। তাই এটি বিশেষ করে কাপলদের জন্য রেকমেন্ডেড। এখানে রয়েছে মিন্সিগঞ্জ এলাকার কাঠের বাড়ির মত করে বানানো ২ তলা বিশিস্ট দৃস্টিনন্দন কাঠের বাড়ি যার ভিতর বাইরে ফুলে ফুলে ভরা। এই বাড়ির ২য় তলায় বসে সময় কাটানো সবচেয়ে ভাললাগার। এখানে বসে দেখতে পারবেন আশেপাশের ফসলি জমি ও নদী। এটা ছাড়াও রিজোর্টের এমন অনেক জায়গা আছে যাগুলোতে বসে চমৎকার সময় কাটানো যায়।
এখানকার আরো একটি বিশেষ আয়োজন হচ্ছে গ্রাম্য উপায়ে রান্না করা খাবার খাওয়া। যেমন মাটির চুলা, পাটা-পুতায় বানানো মশলা দিয়ে রান্না, মাটির থালাবাটিতে খাবার পরিবশন ইত্যাদি। এটার জন্য অবশ্য ১ দিন আগেই এডভান্স করে কনফার্ম করতে হয়। এখানকার মিনিমাম পেকেজ ৪ জনের। তবে এই পেকেজগুলোর মূল্য একটু বেশি। এখানে আরো আছে দৃস্টিনন্দন ভাবে সাজানো রেস্টুরেন্ট ও বাচ্চাদের জন্য কিডজ জোন। জায়গাটা দিনে যেমন সুন্দর রাতেও ঠিক তেমনি মনোমুগ্ধকর।
ঠিকানা ডে আউটার্স এ যেতে হলে আগে আসতে হবে গুলশান নতুন বাজার। তাই ঢাকার যেকোন জায়গা থেকে আগে বাসে বা অন্য যেকোন উপায়ে নতুন বাজার এসে ওখান থেকে লেগুনা, অটো, বা সিএনজিতে সরাসরি ঠিকানায় চলে যেতে পারবেন। এছাড়া বেক্তিগত বা রিজার্ব গারিতে তো যেতেই পারেন।
লোকাল গারিতে গেলে ভারাতো খুবএকটা লাগছেনা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্নরকম হবে যা ১০০-২০০ টাকার মধ্যে। রিজার্ব সিএনজি বা কার এ গেলে হয়তো ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাগবে।
তবে এখানে ঢুকতে হলে ৩০০ টাকা দিয়ে টিকেট নিতে হয়। টিকেট ছাড়াও ফ্রিতে ঢুকা যায় খাবার এর পেকেজ নিলে। তবে খাবারের উচ্চমূল্য আদায়ের মাধ্যমে যা আসলে এডজাস্ট হয়ে যায়।
আর গ্রাম্য স্টাইলে খাবার এর ৪ জনের পেকেজের মূল্য শুরু হয় ৪৮০০ টাকা থেকে।
যেকোন অনুষ্ঠানের বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুন এই নাম্বারে – 01755-500065
ঢাকায় বেরানোর মত এই পাঁচটি জায়গা ছাড়াও আরো অনেক জায়গা আছে। তবে আমাদের মনেহয়েছে সবগুলো জায়গার মধ্যে এই পাঁচটি উল্লেখযোগ্য। আপনাদের সুবিধা অসুবিধা চিন্তা করে ঘুরে আসুন যেকোন জায়গা থেকে।
সোর্সঃ wikipedia, vromonguide, adarbepari
আরো পড়ুনঃ
যমুনা ফিউচার পার্ক (Jamuna Future Park)
ঠিকানা রিসোর্ট / ডে আউটার্স
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত – চট্রগ্রাম
চট্রগ্রাম সিটিতে বেরানোর জায়গা
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এখন থেকে আমাদের কে এই রকম তথ্য দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ করে দিবেন।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের সাইট ভিজিট করবেন আশাকরি।