সকল মানুষই নিজের শরীর স্বাস্থ নিয়ে চিন্তিত থাকে। সবাই-ই নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে চায়। কেউ চায় মোটা হতে আবার কেউ চায় চিকন হতে। অতিরিক্ত মোটা অথবা অতিরিক্ত চিকন শরীর কারো পছন্দের নয়। কিন্তু সবাই স্বাস্থ্যকর ওজন চায়। চিকন মানুষ চায় মোটা স্বাস্থ্যবান হতে আর মোটারা চায় ওজন কমাতে। বয়স এবং উচ্চতার সাথে ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত। আজকে আলোচনা করব সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় নিয়ে।
ওজন কম হওয়ার কারণ
ওজন কম হওয়ার বিভিন্ন কারন থাকতে পারে বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন কার্যক্রম, ও জেনেটিক্যাল বা বংশগত কারন অন্যতম। এছাড়াও টেনসন বা মানসিক চাপ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের অনিয়ম ও নানা রকম অসুস্থতার কারনেও অনেকের ওজন বৃদ্ধি পায় না। একজন মানুষের ওজন কমতে পারে তার থাইরয়েড নির্গত হরমোনের পরিমাণ বাড়লে। এছাড়াও ড্রাগ নিলেও ওজন বাড়তে সমস্যা দেখা দেয়।
মোটা হওয়ার জন্য করনীয়
মোটা হওয়ার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করে থাকে। সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় এই টাইটেল দেখে হয়তো অনেকে খুশি হয়েছেন আবার অনেকে আমাদের ধোকাবাজ ভাবছেন। আসলে আমাদের দেয়া উপায়ে আপনি সাত দিনে একেবারে ৫-১০ কেজি বা তার বেশি ওজন বেড়ে যাবে এমন না। কারণ এটি যোক্তিক ও না। অনেকেই কম সময়ে অনেক মোটা হয়ে যাওয়ার জন্য শরিরের জন্য ক্ষতিকর এমন উপায় গ্রহন করে থাকেন এটি কাম্য নয়। আমরা সঠিক উপায়ে মোটা হওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করার চেস্টা করেছি।
খাবার গ্রহন বৃদ্ধি করুন
মোটা হতে হলে আপনাকে অবশ্যই খাবার গ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে। প্রতিদিন ৩ বেলা বেশি করে না খেয়ে দিনে ৫-৬ বার খেতে পারেন। যেসব খাবার শরীরের পুষ্টি বৃদ্ধি করে, ওজন বাড়ায় যেমন প্রোটিন ও কার্বোহাইট্রেড যুক্ত খাবার খেলে মোটা হতে পারবেন। ওজন বৃদ্ধি করতে দৈনিক খাবারের সাথে অতিরিক্ত ৩০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি বেশি খাওয়া উত্তম। এর থেকে বেশি খাওয়া গেলেও তা শরীরে চর্বি জমাতে পারে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সবচেয়ে ভাল হয় একজন ডায়েট্রেশিয়ান এর সাথে আলোচনা করে আপনার খাবার তালিকা করে নিলে।
নিয়মিত এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করুন
একজন ব্যক্তি মোটা হওয়ার জন্য এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করতে পারেন। মনে প্রশ্ন জাগছে? মানুষ চিকন হতে এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করে তাহলে মোটা হবো কিভাবে ? চিকন হতে যেমন এক্সারসাইজ বা ব্যায়ামের কার্যকরিতা রয়েছে ঠিক তেমনি মোটা হতেও ব্যায়াম কার্যকরি। তাই মোটা হতে কিছু জিমে, বাসায় বা বাইয়রে ব্যায়াম করতে পারেন।
যেমন : লাঞ্জ, স্কুয়াট, প্লান্ক, পুশ-আপ, ভার উত্তোলন ইত্যাদি। ব্যায়ামের এর কারণে আপনার খাবার হজম হবে তারাতারি, ফলে বেশি বেশি খেতে পারবেন। ব্যায়াম করলে শরির ও মন ভাল থাকে, ঘুম ও ভাল হয়। মোটা হতে ভালো জিম ট্রেইনারের পরার্মশ নিয়ে কিছু কঠোর এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম অবলম্বন করতে পারেন। ওজন বাড়ানোর সময় ব্যায়াম করলে অতিরিক্ত ক্যালোরি খেলেও শরীরে চর্বি জমার সম্ভাবনা কম থাকে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সুস্থ থাকার জন্য সপ্তাহে অন্তত ২.৫ ঘন্টা ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
ব্যায়াম করার আগে শর্করা খান
শরীরচর্চা শুরু করার আগে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার তাৎক্ষণিক শরিরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। তাই ব্যায়ামের আগে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া ভাল। নিম্ন চর্বি ও আঁশ এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন গোটা শষ্য ও তাজা ফলের মধ্য থেকে এই ধরনের আঁশজাতীয় খাবার খেতে হবে। আধা আউন্স কাঠবাদাম অথবা এক টেবিল-চামচ বাদামের মাখন খাওয়া উত্তম।
ব্যায়াম করার পরে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট খান
ব্যায়ামের পরে শরীরের কেলোরি ক্ষয় হয় এবং ব্যায়াম করার সময় গ্লাইকোজেনের সঞ্চয় শেষ হয়ে যায় সেটা পূরণ করার জন্য ৩০ মিনিটের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এক্সারসাইজ বা শরীরচর্চার পরে পেশি পুনর্গঠনের জন্য শরিরে প্রোটিন এর দরকার হয়। প্রোটিন শরীরের অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সরবারহ করে। তাই কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ফলে এর ঘাটতি পূরণ হয়। চাইলে তাজা ফলের সঙ্গে খাঁটি দই ও বাদাম অথবা স্লাইস টোস্টের সঙ্গে কলা ও বাদামের মাখন খেতে পারেন।
কি ধরনের খাবার খাবেন
মোটা হতে চাইলে আপনার বাছাই করা খাবার সময় মত যেটা যখন খাওয়া উচিত সেভাবে খেতে হবে।
বরং সব খাদ্য উপাদান রয়েছে এমন খাবার খেতে হবে। এজন্য পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারেন। কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন, চর্বি, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার এবং খনিজ উপাদান-সমৃদ্ধ ফলমূল রাখুন খাদ্য তালিকায়।
আপনার ডায়েটে উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত স্ন্যাকস যুক্ত করতে হবে। সারাদিনে আধা কাপ বাদাম খেলে প্রায় 500 ক্যালোরি পাওয়া যাবে। বাদাম এর মতো কিশমিশ ও অত্যন্ত উপকারী। কারণ ক্যালোরি ছাড়াও এগুলো আপনাকে অন্যান্য পুষ্টির সরবরাহ করে। স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধির জন্য চিনাবাদাম মাখন এবং কলা অন্তর্ভুক্ত করুন।
নিয়মিত সকালে এবং ঘুমানোর আগে দুধের সাথে মধু মিশে খেতে পারেন। প্রতিদিন ৩-৪টি কলা খেতে পারেন। কলা ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মোটা হতে দুধ ও কলা একসাথে দিয়ে মিল্কশেক বানিয়ে খেতে পারেন যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। সাত দিনে ওজন বৃদ্ধি করতে দৈনিক ৪ থেকে ৬ টি খেজুর খেতে পারেন। কারন খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে যা মোটা হতে সাহায্য করে। এছাড়াও খেজুর এবং শসা একসাথে খেতে পারেন। আশা করা যায় সাত দিনে ভালো ফলাফল পাবেন।
এছাড়াও আলু ঘি দিয়ে ভেজে বা ঘি দিয়ে আলু ভর্তা করে খেলেও অনেক ভালো কাজ করে। সঠিক খাদ্যভ্যাস মোটা হতে সাহায্য করে। মোটা হতে প্রতিদিন ১০০/১৫০ গ্রাম ছোলা খেতে পারেন। কারন ছোলাতে রয়েছে প্রোটিন। ১/২ কাপ রান্না করার ডাল খেতে পারেন। ডালেও প্রোটিন রয়েছে যা মোটা হতে সাহায্য করে। ডিম, কিসমিস, মটরশুঁটি ও বাদাম ইত্যাদি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে।
প্রচুর পানি পান করতে হবে, সাধারণ নিয়ম হচ্ছে একজন মানুষের উচ্চতার অর্ধেক লিটারে পরিমাপ করে পানি পান করতে হবে।
কি ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন
মোটা হতে অনেক ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কারন অনেক খাবার শরীর মোটা করলেও শরীরের জন্য তা অস্বাস্থ্যকর। গরু-খাসির মাংস খেলে ওজন বাড়লেও তা শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর। কারন এতে অতিরিক্ত পরিমানের চর্বি থাকে। তাই গরু-খাসির মাংস পরিমান মত খেতে হবে। ফ্যাট জাতীয় খাবার না খাওয়া ভালো।
চিকিৎসকের মতে মোটা হতে পিজ্জা, বার্গার, কেক, পেস্ট্রি খাওয়া উচিত নাহ। মোটা হতে ভাজাপোড়া না খাওয়া ভালো। আপনি নিয়মিত সাবুদানা খেয়ে ওজন বাড়াতে পারেন, কিন্তু এতে পুষ্টির ঘাটতি থেকে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে, তাই সাবুদানা এড়িয়ে যাওয়া ভালো। পুডিং-কাস্টারড এগুলোত প্রচুর চিনি থাকে। অতিরিক্ত চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই পুডিং-কাস্টারড ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলা ভালো।
কোন সময়ে কি খাবেন (সাপ্তাহিক ডায়েট প্ল্যান)
সাধারনত অতিরিক্ত চিকন ব্যক্তিরা চায় মোটা হতে। মোটা হওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। একজন ব্যক্তি মোটা হতে নিম্নের দেয়া খাবার তালিকা অনুসরন করতে পারেন।
শনিবার
সকালের নাস্তা (৮-৮.৩০ AM) ৩ টি সবজি সুজি চিলা + ১ কাপ স্ট্রবেরি শেক + ৪ টি কাজু বাদাম + ৪ টি কাঠ বাদাম + ৩ টি আখরোট।
মিড-মিল (১১.১১.৩০ AM) ১ কাপ নারকেল এর পানি + ১ কাপ ডালিম।
দুপুরের খাবারঃ (১-১.৩০ PM) ১ কাপ মিক্স ডাল + ১ কাপ সয়াবিন কারি + ৩ রুটি + ১ কাপ দই + সালাদ।
সন্ধ্যায় (৪.৩০-৫ PM) ১ কাপ ফলের সালাদ + ৪ পিসি সবজি কাটলেট + সবুজ চাটনি।
রাতের খাবার (৮-৮.৩০ PM) ১ কাপ করলা সবজি + .৩ রুটি + সালাদ
রবিবার
সকালের নাস্তাঃ (৮-৮.৩০ AM) ২ টি ডিম, ব্রাউন ব্রেড স্যান্ডউইচ + সবুজ চাটনি + ১ কাপ দুধ + ৩ টি কাজু বাদাম + ৪ টি কাঠ বাদাম + ২ টি আখরোট।
মিড-মিলঃ (১১.১১.৩০ AM) ১ কাপ বানানা শেক।
দুপুরের খাবারঃ (১-১.৩০ PM) ১ কাপ ঘন ডাল + ১ কাপ আলুর তরকারি + পরিমান মত রঙ্গীন সবজি + দের-দুই কাপ ভাত + ১ কাপ কম চর্বিযুক্ত দই + সালাদ।
সন্ধ্যা (৪.৩০-৫ PM) ১ কাপ স্ট্রবেরি স্মুদি + ১ কাপ ভেজিটেবল পোহা।
রাতের খাবার (৮-৮.৩০ PM) দের কাপ চিকেন কারি + ৩ টা রুটি বা ২ কাপ ভাত + সালাদ
সোমবার
সকালের নাস্তা (৮-৮.৩০ AM) ৩ টি পেঁয়াজ ভরা পরটা + ১ কাপ দই + ৩ টি কাজু বাদাম + ৪ টি কাঠ বাদাম + ২ টি আখরোট।
মিড-মিল (১১.১১.৩০ AM) ১ কাপ ম্যাঙ্গো শেক।
দুপুরের খাবার (১-১.৩০ PM) ১ কাপ মুগ ডাল অথবা মুরগির কারি + ১ কাপ আলু এবং ফুলকপির সবজি + ৩ টি রুটি বা ২ কাপ ভাত + সালাদ।
সন্ধ্যা (৪.৩০-৫ PM) ১ কাপ ডালিমের রস + ২ টা মাখন টোস্ট করা রুটি।
রাতের খাবার (৮-৮.৩০ PM) ১ কাপ মটরশুটি আলু সবজি + ৩ টি রুটি + সালাদ।
মঙ্গলবার
সকালের নাস্তা (৮-৮.৩০ AM) ৩ টি পনির স্টাফ বেসন চিলা + সবুজ চাটনি + ১ কাপ দই + ৩ টি কাজু বাদাম + ৪ টি কাঠ বাদাম + ২ টি আখরোট।
মিড-মিল (১১.১১.৩০ AM) ম্যাপেল সিরাপ সহ ১ কাপ আপেল স্মুদি
দুপুরের খাবার (১-১.৩০ PM) ১ কাপ মসুর ডাল + ১ কাপ ক্যালোকেসিয়া + ৩ টি রুটি অথবা ২ কাপ ভাত + ১ কাপ চর্বি কম দই + সালাদ।
সন্ধ্যায় (৪.৩০-৫ PM) ১ কাপ টমেটো স্যুপ ব্রেড ক্রাম্বস + ১ কাপ আলু চাটনি।
রাতের খাবার (৮-৮.৩০ PM) ১ কাপ গাজর ডাল সবজি + ৩ টি রুটি + সালাদ।
বুধবার
সকালের নাস্তা (৮-৮.৩০ AM) ১.৫ কাপ সবজি রুটি + ১ কাপ দুধ + ৩ টি কাজু বাদাম + ৪ টি কাঠ বাদাম + ২ টি আখরোট।
মিড-মিল (১১.১১.৩০ AM) ১ কাপ পাকা কলা ২ চা চামচ ঘি সহ।
দুপুরের খাবার (১-১.৩০ PM) ১ কাপ রাজমা কারি + ১ কাপ পালংশাক আলু + ৩ রুটি অথবা ২ কাপ ভাত + সালাদ।
সন্ধ্যা (৪.৩০-৫ PM) ১ কাপ সবজির রস + ১ কাপ সুজির উপমা।
রাতের খাবার (৮-৮.৩০ PM) ১.৫ কাপ পারওয়াল সবজি + ৩ টি রুটি + সালাদ।
বৃহস্পতিবার
সকালের নাস্তা (৮-৮.৩০ AM) ২ টি শসা, আলু স্যান্ডউইচ + ১ চা চামচ সবুজ চাটনি + ১ কাপ ওরেঞ্জ জুস + ৩ টি কাজু বাদাম + ২ টি আখরোট + ৪ টি কাঠ বাদাম।
মিড-মিল (১১.১১.৩০ AM) ১ কাপ বাটার মিল্ক + ১ কাপ মিষ্টি আলু।
দুপুরের খাবার (১-১.৩০ PM) ১ কাপ সাদা ছানা / মাছের তরকারি + ৩ টি রুটি অথবা ২ কাপ ভাত + সালাদ।
সন্ধ্যা (৪.৩০-৫ PM) ১ কাপ বাদাম দুধ + কলা।
রাতের খাবার (৮-৮.৩০ PM) ১ কাপ ফুলকপি আলু সবজি + ৩ টি রুটি অথবা ২ কাপ ভাত + সালাদ।
শুক্রবার
সকালের নাস্তা (৮-৮.৩০ AM) ২ কাপ সবজি পোহা + ১ কাপ দই + ৩ টি কাজু বাদাম + ৪ টি কাঠ বাদাম + ২ টি আখরোট।
মিড-মিল (১১.১১.৩০ AM) ২ কাপ তরমুজের রস।
দুপুরের খাবার (১-১.৩০ PM) ১ কাপ চনার ডাল + ১ কাপ ভিন্ডি সবজি + ৩ টি রুটি অথবা ২ কাপ ভাত + সালাদ।
সন্ধ্যা (৪.৩০-৫PM) ১ কাপ স্প্রাউট সালাদ + ২ আলু চিলা + সবুজ চাটনি।
রাতের খাবার (৮-৮.৩০ PM) ১ কাপ মটর মাশরুম সবজি + ৩ টা রুটি বা ২ কাপ ভাত + সালাদ
প্রতিদিন এই নিয়ম খাবার খেলে দ্রুত মোটা হওয়া সম্ভব।
মোটা হওয়ার ঔষুধ
মোটা হওয়ার বিভিন্ন ঔষধ রয়েছে। এদের মধ্যে অনেক ঔষধ রয়েছে যা শরীর মোটা করে আবার অনেক ঔষধ রয়েছে যা খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে। খাবারের রুচি থাকতে হবে রুচি না থাকলে বেশি খেতে পারবেন না ফলে মোটাও হতে পারবেন না। তাই রুচি বৃদ্ধি করতে ঔষধ খেতে পারেন। রুচি বারানোর জন্য অনেক ধরনের ঔষধ রয়েছে। যেমন : রুচিবেট, পুদিনা সিরাপ, সিনকারা সিরাপ, পিউটন সিরাপ, আমরুদ প্লাস ইত্যাদি।
রুচিবেট খাওয়ার ফলে আপনার রুচি বৃদ্ধি পায়। পুদিনা সিরাপের মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি পায়। সিনকারা সিরাপের ফলে মুখের রুচি বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষুদা বৃদ্ধি করে। পিউটন সিরাপ ওজন বৃদ্ধি করে এবং রুচি বৃদ্ধি করে যার ফলে বেশি বেশি খাবার খাওয়া যায়। আমরুদ প্লাস খাবারের চাহিদা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের দূর্বলতা দূর করে। কিন্তু আমরুদ প্লাস শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারমিনা সিরাপও খেতে পারেন এটি কোনো ক্ষতি করে না এটি দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যেই ঔষধ-ই সেবন করেন না কেনো তা সেবন করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করা উচিত।
শরির মোটা করার জন্য আরো যা যা করতে হবে
মোটা হতে ওজন বাড়াতে হবে। ওজন বৃদ্ধি পেলে আপনি মোটা হতে পারবেন। সঠিকভাবে সুস্থ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। মোটা হতে খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখবেন। সাত দিনে মোটা হতে বেশি বেশি কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেতে পারেন। ভাত রুটি এগুলো কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার তাই এগুলো খেতে পারেন। সাত দিনে মোটা হতে মধু খেতে পারেন। ৭ দিনে দ্রুত মোটা হতে বেশি বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করবেন। দিনে ৬০০-৭০০ ক্যালরি গ্রহণ করলে সাত দিনে মোটা হওয়া সম্ভব। প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে পারেন। ওটস এ প্রোটিন রয়েছে যা মোটা হতে আপনাকে সাহায্য করবে।
তাজা মিষ্টিজাতীয় ফলওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যেমন : আপেল, আঙুর, কলা, নাসপাতি ইত্যাদি। এছাড়াও ভাতের মাড় লবন মিশিয়ে খেতে পারেন এটি শরীর মোটা করতে সাহায্য করে। কারন ভাতের মাড়ে প্রচুর শক্তি রয়েছে। মোটা হতে রাত জাগা থেকে বিরত থাকবেন পরিমিত পরিমাণ ঘুমাবেন।
আরো পড়ুনঃ বিড়াল কামড়ালে বা আঁচড় দিলে কি করবেন?