যারা ইতিহাস ঐতিহ্য বা প্রাচীন স্থাপনা সম্পর্কে দেখতে বা জানতে চান বালিয়াটি জমিদার বাড়ি তাদের জন্য চমৎকার একটি ঐতিহাসিক স্থান। এই জমিদার বাড়িটি মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত।
বালিয়াটি জমিদার বাড়িতে বিভিন্ন উত্তরাধিকারেরা বিভিন্ন সময়ে মোট ৭ টি স্থাপনা তৈরি করেন যা এখনো ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দড়িয়ে আছে এখনো।
জমিদার বাড়িটি এখন প্রত্নতাত্বিক বিভাগের তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। বাড়িটির রঙ্গমহল খেত ভবনটিতে করা হয়েছে যাদুঘর।
১৯০০ শতকে ১৬ হাজার বর্গকিলোমিটার এর বেশি জায়গা জুড়ে গড়ে উঠে পেলেসটি। রাস্তার একপাশে বিশাল পুকুর অপর পাশে জমিদার বাড়িটি। রাস্তার সাথেই পাশাপাশি বিশাল ৪ টি ভবন এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি পরিদর্শনের সময়
জমিদার বাড়িটি দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে অক্টোবর থেকে মার্চ মানে শিতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত খোলা থাকে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। রবিবার সারাদিন আর সোমবার দুপুর পর্যন্ত বন্ধ থাকে। এছাড়া যেকোন সরকারি ছুটির দিনে বন্ধ থাকে। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিন দুপুর ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জমিদার বাড়ি বন্ধ থাকে। আর শুক্রবার দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিট থেকে ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকে।
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি যাওয়ার উপায়
গাবতলী থেকে সাটুরিয়া গামী এস বি লিংক পরিবহণে গেলে। সাটুরিয়া পার হয়ে সাটুরিয়ার জিরো পয়েন্টে নেমে যেতে হবে। জিরো পয়েন্ট থেকে অটোতে জমিদার বাড়ী ভাড়া ২০-৩০ টাকা।
অথবা গাবতলী থেকে আরিচা বা মানিকগঞ্জগামী যে সব বাস সাটুরিয়া হয়ে যায় সেগুলোতে করে সাটুরিয়া যেতে পারবেন।
উত্তরার দিক থেকে যেতে চাইলে আব্দুল্লাপুর হয়ে সাভার নবীনগর যাবেন। সাভার স্মৃতিসৌধের সামনে থেকে সাটুরিয়ার বাস পাওয়া যায়, ভাড়া ৪০-৫০ টাকা। তারপর সাটুরিয়া নেমে অটো বা সি এন জিতে বালিয়াটি জমিদার বাড়ী।
অথবা নিজস্ব কিংবা রিজার্ব গারিতে সরাসরি চলে যেতে পারেন বালিয়াটি জমিদার বাড়ি।
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি যাওয়ার খরচ
লোকাল বাসে গেলে খাবার খরচ সহ প্রতিজনের জন্য খরচ হবে পাঁচশ থেকে ছয়শ টাকা করে।
তো আর দেরি কেন সুযোগ বুঝে ঘুরে আসুন সুন্দর এই ঐতিহাসিক জায়গা থেকে।
আরো কিছু দর্শনিয় স্থানঃ